বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনী ও প্রতিযোগীতা ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ শেষ হলো মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনী ও প্রতিযোগীতা ২০২১। পশ্চিমবঙ্গের ‘রয় পোর্ট্রেট এন্ড ফাইন আর্ট অফিসিয়াল ‘ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এখানে বাংলাদেশের ৩০জন ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ১৩০ জন শিশু কিশোর তরুণ অংশগ্রহণ করেন। এক মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর শেষে গত ৬ জুলাই সংগঠনের কর্ণধার শিল্পী প্রতীম রায় তার পেজে এর ফলাফল প্রকাশ করেন। প্রতীম রায় বাংলাদেশের এই প্রতিবেদককে জানান .. ‘এখন তো গ্যালারি বন্ধ। তাহলে এত শিল্পী দের কাজ এক ছাদের তলায় আগের মতন আসবে কি ভাবে?এর কি কোন উপায় আছে? হ্যা অবশ্যই উপায় আছে। আর সেই কারণেই গতবারের ন্যায় এবারও আমরা আয়োজন করেছিলাম আন্তর্জাতিক অনলাইন পেইন্টিং এবং ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা,২১। মূলত ক্ষুদে ও পেশাগত শিল্পীদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান টি শুরু হয়েছিল গত ৬-ই জুন। চলেছে গত ৫- ই জুলাই পর্যন্ত। ১৬০ জন মোট শিল্পী ভারত ও বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রণ করেছিল। পুরো প্রদর্শনী টি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবাইকে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য শিল্পী আহসান আহমেদ যিনি
এ দেশের শিল্পীদের কে সাহায্য করেছেন এরকম প্রদর্শনীতে অংশ নিতে। সমস্ত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করার জন্য ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি ডিজিটাল সনদ মেইল মারফত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের আর্থিক পুরষ্কার ও আলাদা সম্মানি এবং ডিজিটাল সনদ দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠান এ বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ভারতের কলা রতন পুরস্কার প্রাপ্ত সঞ্জয় মৌরিয়া এবং বাংলাদেশের আহসান আহমেদ। শিল্পী আহসান আহমেদ জানান, ১৫ মাস থেকে কোভিডের কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ,তাই এ সময় শিক্ষার্থীরা যেন হতাশ হয়ে না পরে সেজন্য অনলাইন ভিত্তিক এই আয়োজনে। এতে বাংলাদেশের সৃষ্টিশীল শিশু কিশোরদের অংশগ্রহন করাতে পেরে আমি আনন্দিত, আরও আনন্দিত এই জন্য যে ভারতের মতো এতো বড় একটি দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের দুজন ক্ষুদে শিল্পী বিজয়ী হয়েছে। তারমধ্যে একজন রংপুরের জয়িতা রাজীন পুস্পিতা, অন্যজন ঢাকার ইমরুল কায়েস রাফসান।