রংপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমে স্থবিরতা
রংপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমে স্থবিরতায় ফুঁসে উঠেছে বর্তমান ও সাবেক খেলোয়ারসহ সচেতন অভিভাবকরা। এক যুগ ধরে সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা নারী নেত্রীর স্বেচ্ছাচারিতা নিয়েও ক্ষুদ্ধ তারা। বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে সাবেক খেলোয়ার ও ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে একটি সক্রিয় কমিটি গঠনের দাবি জানান ক্রীড়ানুরাগীরা। মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত এক দশক আগে ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নিতে নানা ক্রীড়া প্রশিক্ষণ-খেলাধুলার আয়োজন করতো রংপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। তৎকালীন রংপুর নারী দল ভলিবল, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস অ্যাথলেটিক্স এ অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন-রানারআপ হয়েছিল। কিন্তু পদে আসার পর থেকে বতর্মান সাধারণ সম্পাদক চায়না চৌধুরীর নারীদের খেলাধুলা-প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রতি অনীহা থাকার কারণে খেলোয়াররা পিছিয়ে পড়েছে। এতে জাতীয় পর্যায়ের কোন টুর্নামেন্টে রংপুরের খেলোয়ারদের অংশগ্রহণ নেই। খেলোয়াররা বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে সাবেক খেলোয়ার ও ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে একটি সক্রিয় কমিটি গঠনের দাবী জানান।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ভলিবল-হ্যান্ডবল খেলোয়ার লতিফা বেগম, ইভা রহমান, বর্তমান ভলিবল খেলোয়ার ফারিহা স্মরনী, বর্তমান হ্যান্ডবল খেলোয়ার রহিতন, ফুটবল খেলোয়ার লায়লাতুন, হকি খেলোয়ার বর্ষা, ক্রিকেট খেলোয়ার মোহনা, সাবেক ভলিবল খেলোয়ার মোস্তাকিমাসহ অন্যরা। মানববন্ধন সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বর্তমান ও সাবেক খেলোয়ার এবং অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক চায়না চৌধুরী বলেন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমে স্থবিরতা নেই। আগে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি অনেক বড় ছিল। বর্তমানে কাজের গতি আনতে কমিটিকে ছোট করা হয়েছে। যারা কমিটিতে জায়গা পাইনি, তারাই কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত মানববন্ধন একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। ##