মারুফা জামান, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। শিশুসহ নারী-পুরুষের পদচারণায় সরগরম বিপণী বিতানগুলো।ক্রেতারা তাদের পছন্দমত জামা-জুতা, পোশাক-প্রসাধনী ইত্যাদি ঈদ পণ্য কিনে নিচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে কেনাবেচা চলছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভীড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্সের কারিগররা। রাত জেগে কাজ করছেন তারা। গত বছরের চেয়ে এ বছর পোশাক বেশি তৈরি হচ্ছে বলে টেইলার্স মজমুল হক জানান।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক বিরাজ করলেও থেমে নেই মানুষ। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষ ততই বাজারমুখী হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে মানুষের ক্রয়-বিক্রয়। স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় প্রশাসনের তেমন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকের। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।
মা গার্মেন্টস এর পরিচালক মিলন বলেন, হাফ সিল্ক ও ভিনয় থ্রি-পিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। পার্টি শাড়ী, গোলভানু, স্বর্ণকাতান, কাতান, ইন্ডিয়ান সিল্ক, ঢাকাইয়া জামদানী, কুচি প্রিন্স শাড়ী, লংফ্রোগ ও ল্যাহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বিক্রি অনেক ভালো।
ক্রেতা সুমাইয়া বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
ভাই ভাই ফ্যাশন এর সেলসম্যান কামরুজ্জান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে বলে তিনি দাবি করেন। খাদিজা গার্মেন্টস এর পরিচালক রাহেবুল বলেন, করোনার মাঝেও বিক্রয় ভালোই হচ্ছে। কাপড়ের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছেন। তবে ঈদকে সামনে রেখে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে এভাবে কেনাকাটা করায় গঙ্গাচড়ায় করোনা ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন এলাকার সচেতন মহল।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে
মানুষকে বাজারে আসার কথা ব্যক্ত করে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।