পীরগঞ্জে অটো সিএনজিতে রান্নার গ্যাস ব্যবহার, ঝুঁকিতে চালকসহ যাত্রীরা!!
নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় সিএনজিচালিত তিন চাকার অটোরিকশায় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে বাসা-বাড়িতে রান্না করার এলপি গ্যাস। এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকসহ সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে উপজেলার খালাসপীর অটোরিকশার স্ট্যান্ড ঘুরে এসব চিত্র চোখে পড়ে। এসব সিলিন্ডার চালকের সিটের নিচে এবং যাত্রী সিটের পেছনে ক্যারিয়ারে উন্মুক্তভাবে রাখা হয়েছে। এ জাতীয় পরিবহনে সিএনজি সিলিন্ডার ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের অনুমতি নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বেআইনি কারবার। অনেক সময় উঁচু-নিচু রাস্তায় ঝাঁকির কারণে সিলেন্ডারের মুখে ব্যবহৃত রেগুলেটর মিসিং হতে পারে। সিলিন্ডারের মুখের রেগুলেটর মিসিং হলে গ্যাস লিকেজ হলে সে ক্ষেত্রে অগ্নিকান্ডের আশঙ্কা থাকে। এলপি গ্যাস সহজলভ্যতার কারণেই এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে আর যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকিও বাড়ছে। এ উপজেলায় পীরগঞ্জ শহরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় কমপক্ষে ১০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড রয়েছে। এসব স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক প্রায় ৩’শ থেকে ৪’শ টি সিএনজি বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহন করে। পীরগঞ্জ থেকে মহাসড়ক হয়ে সেই পাম্প স্টেশনে গিয়ে সিএনজির সিলিন্ডারে গ্যাস ভরতে হয়। সিএনজি চালক রা বলছেন, গ্যাসের সিলিন্ডার ভরতে বগুড়ায় যাতায়াত করতে মহাসড়কে পুলিশের হয়রানির পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনকে চাঁদা দিতে হয়। বাধ্য হয়ে তারা বাসাবাড়িতে রান্নায় ব্যবহৃত এলপি গ্যাস দিয়েই গাড়ি চালাচ্ছি। সাধারণ যাত্রীরা বলেন- যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ন হলেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তেই এভাবেই চলতে হয় আমাদের। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরোদা রানী রায় বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা কেউ আমাকে বলেনি। আপনার কাছেই প্রথম জানলাম। বিষয়টি মোবাইল কোর্টের আওতাভুক্ত আছে কি না খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এব্যপারে মুটোফোনে ভংকর তথ্য দিলেন পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার রতন চন্দ্র সর্মা বলেন এটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ন, যে কোন সময় আনাকাংখিত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে বলে আমি মনে করি।