মিঠাপুকুরে বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর অনশন
জেলা প্রতিনিধি, রংপুর॥ রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী। মেয়েটির দাবি প্রায় দু-মাস আগে ওই সেনাসদস্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায়ই মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতেন ঐ সেনা সদস্য।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রওশনের বিয়ে অন্য কোথাও হচ্ছে এমন খবর পেয়ে মেয়েটি তার ফুফু এবং নানিকে নিয়ে রওশনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। রওশন এবং তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় তাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঘরবাড়ি ছেড়ে সটকে পড়ে রওশন ও তার বাবা মা। যদিও এলাকাবাসী বলছে ইতিমধ্যে রওশনের অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা সম্পূর্ণ হয়েছে। শুধু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকী।
ঐ স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের দাবি, উপজেলার ৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের ময়েনপুর গাছুয়া পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সেনাসদস্য মোঃ রওশন আলীর সঙ্গে পাশ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার নাগেরহাট গাছুয়া পাড়ার গোলাম মোস্তফার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে (১৩) সঙ্গে প্রায় দুমাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঐ নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাসে মেয়ের বাবার বাড়িতে রওশন প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এবং বিয়ের প্রলোভনে মেয়ের বাবা মা বাড়িতে না থাকায় অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
রওশনের বাড়িতে ঐ মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে ইউপি-চেয়ারম্যান মকছেদুল আলম মুকুল এবং ইউপি-সদস্য শাহ মোহাম্মদ জুলফিকার আলম রিকু ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং মেয়ের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েকে তার নিজ জিম্মায় নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু মেয়ের বাবা গোলাম মোস্তফা মেয়েকে নিজের জিম্মায় নেওয়ার অস্বীকৃতি জানায়। নাবালিকা ঐ মেয়েকে তার বাবার বাড়ি ফিরে যেতে বললে মেয়েটি জানায়, রওশনের সঙ্গে বিয়ে না হলে আমার লাশ যাবে রওশনের বাড়ি থেকে। রওশনের বাবা মা বাড়িতে না থাকায় কোন রকমের সিদ্ধান্ত ছাড়াই চেয়ারম্যান এবং ইউপি-সদস্যসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত সেনাসদস্য রওশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ধরণের কোন অভিযোগ লিখিত কিংবা মৌখিক পাইনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেজাউল করিম জীবন, রংপুর
০১৭২২৮৮২৭৭০