সাড়া ফেলেছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের রক্তের জরুরি হেল্প লাইন
জেলা প্রতিনিধি, রংপুর: “জরুরী প্রয়োজনে রক্তের জন্য হেল্প লাইন“ রংপুর জেলা ছাত্রলীগের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। হেল্প লাইনে দেয়া নাম্বারে ফোন করে রোগীর জন্য প্রয়োজন রক্ত গ্রুপের কথা বললেই নেতাকর্মীরা
ছুটে যাচ্ছে সেখানে। যার রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তার সকল টেস্ট শেষে রোগীকে দেয়া হচ্ছে রক্ত।
শনিবার (১অক্টোবর) দুপুরে রংপুর কমিউনিটি হসপিটাল থেকে এমনি এক রোগীর স্বজন বি-পজিটিভ রক্তের জন্য ফোন করেন জেলা ছাত্রলীগের জরুরি রক্তের হেল্প লাইন সেন্টারে। তাৎক্ষণিক সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছুটে যায় হসপিটালে। পরে রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় রক্ত দেয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের
সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
এদিকে এমন মানবিক উদ্যোগ গ্রহন করায় প্রশংসায় ভাসছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ। নিজের পিতার জন্য রক্তের প্রয়োজন বলে হেল্প লাইনে ফোন দিয়ে রক্ত গ্রহীতা সাংবাদিক রেজাউল করিম জীবন বলেন, আমার অসুস্থ বাবার জন্য রক্তের প্রয়োজন ছিল আজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের হেল্প লাইন সম্পর্কে জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর তাদের এক কর্মী এসে আমার বাবাকে রক্ত দেয়। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং ছাত্রলীগ তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এভাবে ধরে রাখবে এটা কামনা করছি।
মেহেদী হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ। আমি মানুষের প্রয়োজনে রক্ত দিতে পেরে গর্বিত ও আনন্দিত। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এই কাজটি করে যাবো।
হেল্প লাইনের উদ্যোক্তা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। গত ২/৩ দিনেই আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। আমরা তিন জন নেতাকে দিয়ে একটি হেল্প লাইন সেন্টার খুলেছি। তারা সার্বক্ষণিক হেল্প লাইন সেন্টারের ফোন রিসিভ করে, এবং রক্তের প্রয়োজন জানানোর পর আমরা সেখানে ছুটে যাই এবং যার রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলে সেই নেতা বা কর্মী রক্ত ডোনেট করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এই মানবিক কাজ গুলো করে যেতে চাই সব সময়। সেই জায়গা থেকে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।