৬৫ বছর বয়সে এসে বিয়ে করলেন উত্তম কুমার! না তিনি নায়ক উত্তম কুমার নন। তিনি সুনামগঞ্জের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিয়ে কিংবা ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, তাই ৬৫ বছর বয়সে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন উত্তম কুমার।
উত্তম কুমার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া গ্রামের মৃত উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর ছেলে। তিনি ৩৯ বছর বয়সের কন্টরি রানী দাসের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। বর কনের থেকে ২৬ বছরের বড়।
কনে কন্টরি রানী দাস সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মৃত তরুণী কান্তি দাসের মেয়ে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা উত্তম কুমার রায় চৌধুরী জানান, দীর্ঘ দিন অসুস্থতা ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি বিয়ে করতে পারেননি। তবে এখন পরিবারের সন্মতিতে বিয়ে করেছেন।
উভয় পক্ষের স্বজনরা জানান, কনে ও বর পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকার শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় দূর্গাবাড়ি মন্দিরে মালাবদল ও ধর্মীয় রীতিনীতি মতো শুক্রবার রাতে বিয়ে করেছেন। বিয়েতে বরকনে পক্ষের স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীসহ এলাকার মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
বরের ভাতিজা বিপ্লব চৌধুরী জানান, তার কাকা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পারিবারিক ঝামেলা ও অসুস্থতার কারণে তিনি সময় মতো বিয়ে করতে পারেননি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করছেন। এজন্য তার খুব ভাল লাগছে।
কনে কন্টরি রানী দাস জানান, আজ থেকে তাদের নুতন জীবন শুরু হলো। তিনি নতুন জীবনে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বরের ভাতিজা রিপন দাস জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
কনের ছোট ভাই জগৎ দাস জানান, কনে তার বড় বোন। দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের দায়িত্ব পালনের কারণে বিয়ে করতে পারেননি। আজ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে বড় বোনের বিয়ে দিতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে।
শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় দূর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন জানান, মন্দিরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিয়ে অনুষ্ঠান হওয়ায় তার খুব ভালো লাগছে। বরকনের উভয় পরিবারের লোকজন বিয়ের আয়োজন করেন। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়।