করোনাকালে ভুইফোঁড় নেতাদের কান্ড!
নগর সংবাদদাতা.
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও কঠোর লকডাউনের অনেক ট্রেড ইউনিয়ন নেতাই এখন হাত গুটিয়ে বসে আছেন। নির্বাহী কমিটির বিপরীতে স্ব-ঘোষিত আহবায়ক কমিটি গঠন দেখিয়ে অনিয়ম আর চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর জলঢাকার একটি লেবার ইউনিয়নের কিছু সমস্যা । এ ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের কেউ কেউ মদদ দিয়ে আসছেন। জলঢাকা উপজেলা লেবার ইউনিয়ন নামক ট্রেড ইউনয়নটির নির্বাহী কমিটির এমন অভিযোগ উঠেছে। জলঢাকা উপজেলা লেবার ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজ-৬৪৮ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর রংপুর কার্যালয়ে দাখিল করা এক অভিযোগে জানা গেছে, ট্রেড ইউনয়নটির বিগত নির্বাচনে পরাজিত রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন নিজেদের মনগড়া একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে । গঠিত ভুইফোড় কমিটি দ্বারা অফিস জমার নামে জলঢাকা বাজারে লোড-আনলোড করা প্রতিটি ট্রাক থেকে ১শ’ হতে ১৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় পূর্বক ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডে মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর রংপুর কার্যালয়ে অভিযোগ দায়েরের পর, সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে গত ২৪জুন অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যদেরকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য একটি পত্র দেয়া হলেও সেই পত্রের জবাব না দিয়েই উপরোন্তু আগেই মতই চাঁদা আদায় করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জোনাব আলী বলেন, গেলো ঈদে ২দিন টাকা তোলা বন্ধ ছিল, এরপর আবার রফিকুলগং চাঁদা উত্তোলন করছেন। এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ করেছি আমরা।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর রংপুর কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামান বলেন, করোনাকালের এই মুহুর্তে সভা, সমাবেশ, সেমিনার সব বন্ধ। কেউ চাঁদা আদায় করে থাকে, তা ঠিক করছেন না। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।