**রংপুর নাগরিক সমাজ(RNS) সংগঠনের নিউজ পোর্টাল rnsnews24.com এ স্বাগতম।  *** প্রতিনিধি নিয়োগ*** রংপুর বিভাগের সকল জেলা ও রংপুর জেলার সকল উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগ- 01722-882770 ।  *** সবার আগে নির্ভুল সংবাদ পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।
শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে খুলনায় দেশীয় তামাক চাষীদের মানববন্ধন   রংপুরে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ শতাধিক চিকিৎসক নিয়ে ডক্টরস নাইট অনুষ্ঠিত জাতীয় বডি বিল্ডিংয়ে মিষ্টার বাংলাদেশ কে এই রংপুরের আহসানুল হক রংপুরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ রংপুর সিটি নির্বাচনে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী ডালিয়া উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাজ্জাজের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলী কেন্দ্রীয় অনুমোদন পেল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রংপুর জেলা কমিটি জাল দলিল করে জমি আত্মসাৎ করার ঘটনায় লিপি খান-শিমুল ভরসাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা রংপুরে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বিশেষ আলোচনা রসিক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মিলনের নির্বাচনী ওয়ার্ড কার্যালয়ের উদ্বোধন
কোরআনের বর্ণনায় পৃথিবী-মহাকাশ ধ্বংস হবে যেভাবে

কোরআনের বর্ণনায় পৃথিবী-মহাকাশ ধ্বংস হবে যেভাবে

কোরআনের বর্ণনায় পৃথিবী-মহাকাশ ধ্বংস হবে যেভাবে

পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে পৃথিবী ও মহাকাশ ধ্বংসের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, কেয়ামতের ছোট-বড় অনেক আলামত রয়েছে। সব আলামত প্রকাশ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে হজরত ইসরাফিল (আ.) শিঙায় ফুৎকার দেবেন।

আল্লাহর আদেশ পাওয়ামাত্র তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। তার দেওয়া ফুৎকারেই ধ্বংস হবে সবকিছু। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস হবে।’ (সুরা কাসাস: ৮৮)

ইসরাফিল (আ.)-এর শিঙায় ফুৎকার দেওয়ার দিন সকালে লোকেরা আপন আপন কাজে ব্যস্ত থাকবে। হঠাৎ সূক্ষ্ম তবে দীর্ঘ একটি আওয়াজ সবাই শুনতে পাবে। সব স্থানের মানুষ সমানভাবে এই আওয়াজ শুনবে। সবাই অবাক হয়ে চিন্তা করবে—এই আওয়াজ কীসের? কোথা থেকে আসছে? সে আওয়াজ ক্রমেই হালকা থেকে কঠিন ও বজ্রপাতের মতো উঁচু ও তীব্র হতে থাকবে। এর কারণে মানুষের মাঝে ভীষণ অস্থিরতা ও উৎকণ্ঠা দেখা দেবে। যখন আওয়াজ পুরোপুরি তীব্র হয়ে যাবে তখন মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকবে।

যার যার কাজ ফেলে পরিবারের লোকদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু পরিবার-আপনজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই কেয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা তাদের সম্পদের অসিয়ত করার এবং নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসার অবকাশও পাবে না।’ (সুরা ইয়াসিন: ৪৯)

হাদিসে এসেছে, ‘কেয়ামত অবশ্যই কায়েম হবে। তা এমন সময় যে, কাপড়ের দোকানে ক্রেতা বিক্রেতার সামনে কাপড় দেখার জন্য মেলে ধরবে, কিন্তু দরদামও শেষ করতে পারবে না, কাপড় গুটাতেও পারবে না; এক ব্যক্তি দুধ দোহন করে ঘরে নিয়ে বসবে, কিন্তু তা পান করতে পারবে না; এক ব্যক্তি হাউজ মেরামত করবে, কিন্তু তা থেকে পানি পান করতে পারবে না; এক ব্যক্তি লোকমা তুলবে, কিন্তু তা মুখে দিতে পারবে না এমন অবস্থায় কেয়ামত কায়েম হবে।’ (বুখারি: ৬৫০৬)

অর্থাৎ পৃথিবীর মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকবে, এমন সময় আকস্মিকভাবে পৃথিবী ধ্বংসের বাঁশি বেজে উঠবে। বিপদ-আপদে পরস্পরে জড়িয়ে থাকাই প্রাণিকুলের স্বভাব। তাই পশুরা ভয়ে সব একত্রিত হয়ে যাবে। বর্ণিত হয়েছে, ‘তখন বন্য পশুরা এক জায়গায় সমবেত হয়ে যাবে।’ (সুরা তাকবির: ৪)

আসমান-জমিন, পাহাড়-পর্বত সব ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। সাগরের জলরাশি শুকিয়ে যাবে। সেখান থেকে আগুনের লাভা বের হতে থাকবে। ক্রমাগত এমন ভূমিকম্প হতে থাকবে, যা পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে চুরমার করে দেবে। সে সময়কার মানুষের অবস্থা বর্ণনায় ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের মতো।’ (সুরা কারিয়া: ৪)

শিঙ্গায় ফুৎকারের ভয়াবহতা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে। সেটা হবে অনেক কঠিন দিন’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৮-৯)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে পড়বে।’ (সুরা জুমার: ৬৮)

আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন জমিন ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পাহাড়গুলো চলমান বালুকারাশিতে পরিণত হবে।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ১৪)

পৃথিবীর সঙ্গে ধ্বংস হবে খুঁটিবিহীন সাত আসমান। আল্লাহ বলেন, ‘সেদিন আকাশকে আমি গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র।’ (সুরা হজ: ১০৪)। একটা পশুর চামড়া ছাড়ানোর পর যা অবস্থা হয়, আকাশেরও অবস্থা হবে তাই। কোরআনের ভাষ্য, ‘যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে।’ (সুরা তাকবির: ১১)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মতো হয়ে যাবে।’ (সুরা রহমান: ৩৭)। সুরা মাআরিজে বলা হয়েছে, ‘সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মতো।’ (সুরা মাআরিজ: ৮)

কোরআনি বর্ণনা অনুযায়ী, পাহাড়-পর্বত জমিনের পেরেক স্বরূপ। বিশাল এ পৃথিবীর স্থিরতার মূলে এই পাহাড় পর্বত। এত বিশালাকার পাহাড়-পর্বতও সে সময় হয়ে যাবে ধুনিত পশমের মতো। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙিন পশমের মতো।’ (সুরা কারিয়া: ৫)

বিশ্বজগতের বৈচিত্র্য, চন্দ্র-সূর্য ও নক্ষত্ররাজির আলো সেদিন মলিন হয়ে যাবে। এমনও নক্ষত্র আছে যেগুলো পৃথিবী থেকে কয়েক লাখ গুণ বড়, সে নক্ষত্রের আলোও সেদিন নিষ্প্রভ হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে, যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে।’ (সুরা তাকবির: ১-২)

গ্রহ-নক্ষত্র টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। তাদের মধ্যে থাকা অণুগুলো ভেঙে যেতে থাকবে। এভাবে সমগ্র মহাবিশ্বই ভাঙতে ভাঙতে পরমাণুময় হয়ে যাবে। আকাশ ফেটে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘যখন আসমান ফেটে যাবে। আর তার রবের নির্দেশ পালন করবে এবং এটাই তার করণীয়।’ (সুরা ইনশিকাক: ১-২)

কত বিশাল বিশাল সমুদ্র পৃথিবীময়—একটাও বাদ যাবে না ধ্বংস হওয়া থেকে। সমুদ্রে আগুন জ্বলে ওঠবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন সমুদ্রকে অগ্নিউত্তাল করে তোলা হবে।’ (সুরা তাকবির: ৬)।

সেদিন ভূগর্ভে গ্যাসীয় আগুন এবং ভূপৃষ্ঠের সমুদ্রের আগুন মিলিত হয়ে সমস্ত পৃথিবী জ্বলে-পুড়ে একাকার হয়ে নতুন জগত সৃষ্টি হবে এবং সবকিছুই ঘটে যাবে আল্লাহর হুকুমে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘কেয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চেয়েও ক্ষণকালের ব্যাপার মাত্র। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর ওপর শক্তিমান।’ (সুরা নাহল: ৭৭)

সংবাদটি সবাইকে জানাতে আপনার স্যোস্যাল অ্যাকাউন্ট দিয়ে শেয়ার করুন




©২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আর এন এস নিউজ ২৪.কম।