সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলে একযোগে ভোট শুরু হলেও রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট শুরু করা যায়নি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় রোকেয়া হলের ভোট শুরু হলেও সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি।
সকাল সাড়ে ৯টায় কুয়েত মৈত্রী হলে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রীরা হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগ, সেখানে রাতেই ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। অনেকের হাতেই সিলমারা ব্যালট পেপার ছিল।
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও চিফ রিটার্নি কর্মকর্তা। তাদের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে প্রোভিসি মুহাম্মদ সামাদ সেখানে যান। শিক্ষার্থীরা তখন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পৌনে ১০টার দিকে ছাত্রীরা হলের প্রোভোস্ট সবনম জাহানের পদত্যাগসহ তিনটি দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা স্লোগান দিতে থাকে, ভোট জালিয়াতির জবাব চাই। প্রশাসনের পদত্যাগ চাই। এই ভোট মানি না মানবো না।
প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, একটি অভিযোগ পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। সবাই এখানে এসেছি। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই ধরনের ঘটনা প্রত্যাশিত নয়। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এখানে ভোটগ্রহণ শুরুর চেষ্টা করছি।